Islam QURAN
Arabic letter
Read QURAN
https://www.youtube.com/watch?v=OHAtGiqQOfY&list=PL3NluzMPgeSowREFQmxfDhgddCNJWVUlH&index=4
https://www.youtube.com/watch?v=U_rk7PAC4gE&t=38s
https://www.youtube.com/watch?v=BsnEsd6vK0o
https://www.youtube.com/watch?v=DmYzl1pUYSA&list=RDCMUCtnc9OC0h5-Gom_nnPdDLDQ&start_radio=1&t=1788
http://www.arabic-course.com/arabic-alphabet.html
Maariful Quran English by Mufti Shafi Sb
Mohamed Hoblos
মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন (দা. বা.)
https://www.youtube.com/watch?v=eYt7SCy66KM&list=PLGrWH0XlOVFK3-ZwbM1jAXyMPq5YrYilq&index=12https://krepmetus.ru/mobile/video/-ZmdQF7RhBA
https://www.youtube.com/watch?v=RZP51bKatg8
মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী (দা বা)
http://www.quraneralo.com/
http://www.quraneralo.com/best-10-days/
‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নতসমূহ থেকে একটি সুন্নত পুনর্জীবিত করল, যা আমার পর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, তাকে সে পরিমাণ সওয়াব দেওয়া হবে, যে পরিমাণ তার ওপর (সে সুন্নতের ওপর) আমল করা হয়েছে। এতে (আমলকারীদের) সওয়াব হতে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ [তিরমিযী : ৬৭৭]
তাকবীর, তাহমীদ ও তাসবীহ পড়া
ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যার আমল যিলহজ মাসের এই দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসূলুল্লাহ বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হল এবং এর কোনো কিছু নিয়েই ফেরত এলো না (তার কথা ভিন্ন)।’ [বুখারী : ৯৬৯; আবূ দাউদ : ২৪৪০; তিরমিযী : ৭৫৭]
তাকবীর, তাহমীদ ও তাসবীহ পড়া : এসব দিনে তাকবীর (আল্লাহু আকবার), তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া সুন্নত। এ দিনগুলোয় যিকর-আযকারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, হাদীসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘এ দশ দিনে নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময়ে তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবীর (আল্লাহু আকবার) ও তাহমীদ (আল-হামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পড়।’[বাইহাকী, শুআবুল ঈমান : ৩৪৭৪; মুসনাদ আবী আওয়ানা : ৩০২৪]
তাকবীরের শব্দগুলো নিম্নরূপ : (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।)
সিয়াম পালন করা : মুসলমানের জন্য উচিত হবে যিলহজ মাসের এই মুবারক দিনগুলোতে যত বেশি সম্ভব সিয়াম পালন করা। সাওম আল্লাহর অতি প্রিয় আমল। হাদীসে কুদসীতে সিয়ামকে আল্লাহ নিজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, সিয়াম ছাড়া আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য; শুধু সিয়াম ছাড়া। কারণ, তা আমার জন্য। তাই আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢাল স্বরূপ।’[বুখারী : ১৯০৪; মুসলিম : ২৭৬২]
সাওম যে এক বড় মর্যাদাসম্পন্ন ও আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল তা আমরা অনুধাবন করতে পারি আমরাএ হাদীস থেকে। তবে রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার দিনের সাওমের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন এবং এর মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। আবূ কাতাদা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘আরাফার দিনের সাওম আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।’ [মুসলিম : ১১৬৩]
দান-সাদাকা
‘হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোনো বেচাকেনা, না কোনো বন্ধুত্ব এবং না কোনো সুপারিশ। আর কাফিররাই যালিম।’ {সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ২৫৪}
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,‘সাদাকা সম্পদকে কমায় না, ক্ষমার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং কেউ আল্লাহর জন্য বিনয়ী হলে আল্লাহ তাকে উঁচু করেন।’ [মুসলিম : ৬৭৫৭]
একনিষ্ঠ মনে তওবা : তওবার অর্থ প্রত্যাবর্তন করা বা ফিরে আসা। যে সব কথা ও কাজ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অপছন্দ করেন তা বর্জন করে যেসব কথা ও কাজ তিনি পছন্দ করেন তার দিকে ফিরে আসা। সাথে সাথে অতীতে এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়ার কারণে অন্তর থেকে অনুতাপ ও অনুশোচনা ব্যক্ত করা। যিলহজের শুভাগমনের আগে সবচে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার এ তওবা তথা সকল গুনাহ থেকে ফিরে আসার প্রতি। স্বার্থক তওবা সেটি যার মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যথা- প্রথম. গুনাহটি সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা। দ্বিতীয়. গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। এবং তৃতীয়. এই গুনাহটি ভবিষ্যতে না করার সংকল্প করা।
গুনাহ থেকে দূরত্ব অবলম্বন করা : সৎ কর্মের মাধ্যমে যেমন আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়, গুনাহের কাজের মাধ্যমে তেমন আল্লাহ থেকে আল্লাহর রহমত ও করুণা থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মানুষ তার নিজের করা অপরাধের কারণে কখনো আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। তাই আমরা যদি অপরাধ মার্জনা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রত্যাশী হই, তাহলে এ দিনগুলোতে এবং এর শিক্ষা কাজে লাগিয়ে বছরের অন্য দিনগুলোতে গুনাহ পরিত্যাগ করতে হবে। কেউ যখন জানতে পারেন কী বড় অর্জনই না তার জন্য অপেক্ষা করছে, তার জন্য কিন্তু যে কোনো কষ্ট সহ্য করা সহজ হয়ে যায়।
“যে ব্যক্তি দুনিয়ায় একজন মুসলমানের একটা কষ্ট দূর করবে, হাশরের দিন আল্লাহ্ও তার একটা কষ্ট দূর করে দিবেন; যে একজন ঋণগ্রস্তকে ঋণমুক্ত করবে, আল্লাহ্ তার দুনিয়া আর আখিরাত দুটোই সহজ করে দিবেন; আর যে ব্যক্তি একজন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, দুনিয়া আর আখিরাত দুই জায়গাতেই আল্লাহ্ তার দোষ গোপন রাখবেন।” [ সহীহ্ মুসলিম]
Stopover Visa
Explore Saudi Arabia or perform Umrah, visit holy sites and historical places in Jeddah or Riyadh at no extra cost. Learn more
⭕ তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ= এক বার কোরআন পাঠ করার সমান। ⭕চার বার সূরা কাফিরুন পাঠ = এক খতম কোরআন পাঠ করার সমান। ⭕ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ = মৃত্য ছাড়া জান্নাতে যেতে আর কোনো বাধা থাকে না। ⭕ ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে = একজন ফেরেশতা সারারাত পাহাড়া দিবে। ⭕ ঘুমানোর সময় সূরা কাফিরুন পাঠ করা = শির্ক থেকে মুক্ত। ⭕রাতে সূরা মুলক পাঠ = কবরের আযাব থেকে মুক্তি। ⭕জামাতে নামাজ আদায় = ২৫/২৭ গুন বেশি সওয়াব। ⭕রমজান মাসে উমরা = হজ্বের সমতুল্য! ⭕জানাযার নামাজ আদায় করা = ১ কীরাত সওয়াব ( ১ কীরাত হল উহুদ পাহাড়ের সমান। ⭕ জানাযার নামাজ আদায় করা + দাফন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত থাকা = ২ কীরাত সওয়াব। ⭕উযু করে নামাজের উদ্দেশ্য মসজিদে রওনা করা = প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি গুনাহ মাপ ও একটি মর্যাদা বৃদ্ধি। (সূত্র : বুখারী ৬৪৮,৭৯৯,৫০১৫।আবু দাউদ ৫০৫৫। তিরমিযী ৯৩১,২৮৯৩)
২. "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি"
অর্থ: আমি কোন ইবাদত করতে পারবো না, কোন গুনাহ ছাড়তে পারবো না এক আল্লাহর সাহায্য ছাড়া
• নিরানব্বইটা রোগের ঔষধ।
• জান্নাতের খনি সমূহের একটি।
• শয়তানের জন্য সবচেয়ে ভারী কালিমা।
• যে নিয়মিত পড়বে তাকে আল্লাহ হেদায়েত দান করবেন।
• যে নিয়মিত পড়বে সে আল্লাহর রহমতের দূর্গে প্রবেশ করবে।
[সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি]
"সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" পড়বে [২]
দিনরাত, চলতে ফিরতে সব সময় পড়বে রব্বে কারীম তোমার দারিদ্র্যতা দূর করে দিবেন।
একবছর পরই ওনার যাকাতের মাল (অতিরিক্ত সম্পদ) নিয়ে রাসুলের দরবারে হাজির হয়েছিলেন।
সুবহানাল্লাহ!!
যে ব্যক্তি দিনে একশত বার [সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি] পড়বে; তার গুনাহগুলো মুছে দেয়া হবে, এমনকি যদিও তা সামূদ্রের ফেনারাশির মতোও হয়’।"
(বুখারি/৬৪০৫)
Whoever says
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
Laa ilaaha ill-Allaah wahdahu laa shareeka lah, lahu’l-Mulk wa lahu’l-hamd wa huwa ‘ala kulli shay’in Qadeer
one hundred times in the day, will have a reward equivalent to that of freeing ten slaves, one hundred hasanahs (good deeds) will be recorded for him, and one hundred sayi’ahs (bad deeds) will be erased from his record, and it will be protection for him from the Shaytaan for that day, until evening comes. No one could achieve any better than him except the one who does more than he did.”
তারিক জামিল
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহু হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্বও তার। প্রশংসা শুধু তারই। তিনিই সব কিছুর সর্বশক্তিমান।
দোয়াটি পড়ার ৫ ফজিলত বা মর্যাদা
এ দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ যে ৫টি পুরস্কার দান করবেন তাহলো-
>> আল্লাহ তাআলা তাকে ১০ জন গোলাম বা ক্রীতদাসকে স্বাধীন করার কিংবা ১০ জন বন্দি মানুষকে মুক্ত করার সাওয়াব দান করবেন।
>> আল্লাহ তাআলা তাকে ১০০ নেকি দান করবেন।
>> আল্লাহ তাআলা তার ১০০ গোনাহ মাফ করবেন।
>> ওই দিনের জন্য তাকে শয়তানের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দান করবেন।
>> ওই দিন আল্লাহর কাছে এ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ বেশি আমল পাবে না। তবে যে ব্যক্তি এ দোয়াটি ১০০ বারের চেয়েও বেশি পাঠ করবে, তার কথা ভিন্ন।
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়াজাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার গুণবাচক নাম সালাম। তুমি শান্তিদাতা। তুমি কল্যাণময়। তুমি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী।
উল্লেখিত দোয়াটি এক বার পাঠ করতে হয়। -মুসলিম শরিফ: ১৩৬২
সূরা ইয়াসিনের ৯নং আয়াত Last Part
فَأَغْشَيْنَٰهُمْ فَهُمْ لَا يُبْصِرُونَ
And We have put before them a barrier and behind them a barrier and covered them, so they do not see.
يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ
হে বড়ত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মান ও বদান্যতার অধিকারী dansheel
ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।(তিরমিযি, হাদীস নং ৩৫২৪/৩৮৬৮)। এটি মূলত: আল্লাহর ৯৯টি নামের একটি।
4.
5.dua Younus
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
দোয়া ইউনুস হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজজলিমীন।’
ফজিলতঃ
ক. এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, আমি নবী ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পড়বে আমি তাদেরও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৮
খ. হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায়ই থাকুক আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিজি: ৩৫০৫
-----------------------------------------------------------------------------------------------
‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মাতাপিতার সঙ্গে সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের ‘উফ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। তাদের সঙ্গে আদবের সঙ্গে কথা বলো।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৩)
----------------------------------------------------------------------------------------------
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে এ দোয়া পাঠ করবে যদি সে ওই রাতে মারা যায় তবে সে অবশ্যই জান্নাতি হবে। আর যে ব্যক্তি দিনে এ দোয়াটি পড়বে এবং ওই দিনেই তার মৃত্যু হয় তবে সে জান্নাতি। (বুখারি)
----
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যদি কেউ গুনাহ মাফের উদ্দেশে্য ইস্তেগফার করাকে নিজের ওপর আবশ্যক করে নেয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে তিনটি পুরস্কার দেবেন—তার জীবনের কঠিন অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করবেন, তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন, তাকে অচিন্তনীয় ও অকল্পনীয় স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন’
https://www.youtube.com/watch?v=hqlFn5Zi2-E
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺁﺗِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻓِﻲ ﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ (রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান্নার) অর্থঃহে আমাদের প্রভু প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বোত্তম কল্যাণ দান করো এবং আগুনের আযাব হতে আমাদের রক্ষা করো।
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অনুবাদ: হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করে দিন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না । স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে স্বচ্ছলতা দান করুন। (তিরমিযি ৩৫৬৩)।
যেমনঃ- আল্লাহ্ পাক মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি সুখ সফলতা রেখেছেন একমাত্র দ্বীনের মধ্যে | যেমন মাছের শান্তি রেখেছেন পানির মধ্যে | আল্লাহ্ পাকের হুকুম নবীর তরীকায় পুরা করাকে দ্বীন বলে ||
মানুষ যখনই দ্বীন থেকে গাফেল হয়ে গেছে, আখিরাতকে ভূলে দুনিয়ামুখী হয়েছে, একমাত্র আল্লাহ্ পাকের উপর ভরসাকে ছেড়ে সৃষ্ট বস্তুর উপর একীন করেছে তখনই আল্লাহ্ পাক মানুষের কামিয়াবী ও নাজাতের জন্য পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক নবী রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন | দাওয়াতের এই মেহনত করতে গিয়ে কোন নবীকে আগুনের মধ্যে যেতে হয়েছে, কাউকে মাছের পেটে যেতে হয়েছে, কারও শরীর থেকে লোহার চিরুনী দ্বারা চামড়া-গোশত খসিয়ে নেওয়া হয়েছে | তথাপি তারা কেহ দ্বীনের মেহনতে সামান্যটুকু কমতি করেন নি ||
হযরত ঈসা (আঃ) এর পর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুয়ত প্রাপ্তি পর্যন্ত দীর্ঘ সময় দাওয়াতের মেহনত বন্ধ থাকায় গোটা আরব বদ্বীনীতে ভরপুর হয়ে যায় | অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে তারা নিজের কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিয়েছে | এমনকি ক্বাবা ঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ঢুকিয়েছিল | এজন্য ঐ যুগকে অন্ধকার যুগ বলা হয় | এজন্য আল্লাহ্ পাক দয়াপরবশ হয়ে কিয়ামত পর্যন্ত সারা দুনিয়ার সমস্ত মানব জাতির হেদায়েতের জন্য হযরত মোহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আখেরী নবী করে দুনিয়ায় পাঠালেন | নবুয়ত প্রাপ্তির পর মাত্র ২৩ বছরের মেহনতে সেই অসভ্য, বর্বর, ঘৃনীত মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিনত হলেন ||
যেহেতু আর কোন নবী দুনিয়াতে আসবেন না তাই এই মেহনতের জিম্মাদারী এখন আমাদের সবার উপর | আমরা যদি এই দাওয়াতের মেহনত না করি কাল কিয়ামতের মাঠে আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে | আর আমরা যদি এই মেহনত করি আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে ইজ্জত ও সম্মান দান করবেন | এই মেহনত করার জন্য সবাই তৈয়ার আছি না ভাই??
ফজীলতঃ
كُنۡتُمْ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالْمَعْرُوۡفِ وَتَنْہَوْنَ عَنِ الْمُنۡکَرِ وَتُؤْمِنُوۡنَ بِاللہِ ؕوَلَوْ اٰمَنَ اَہۡلُ الْکِتٰبِ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ ؕ مِنْہُمُ الْمُؤْمِنُوۡنَ وَاَكْثَرُہُمُ الْفٰسِقُوۡنَ ﴿۱۱۰﴾
(১) আল্লাহ্ পাক বলেন ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে ভাল কথা কার হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহ্র পথে ডাকে এবং নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্যে একজন | [আল-কোরআন]
(২) আল্লাহ্র পাকের রাস্তায় এক সকাল অথবা এক বিকাল ব্যয় করা দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম | [বুখারী]
(৩) আল্লাহ্র রাস্তায় ধূলাবালি আর জাহান্নামের ধূয়া কখনো একত্রিত হবে না | [তিরমিজী]
(৪) আল্লাহ্র রাস্তায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা শবে ক্বদরের রাত্রে হাজরে আসওয়াদ পাথরের পার্শ্বে দাড়িয়ে সারারাত ইবাদকত করার চেয়ে উত্তম | [ইবনে হিব্বান]
(৫) আল্লাহ্র রাস্তায় কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকা আপন ঘরে থেকে ৭০ বছর নামায পড়ার চেয়ে উত্তম | [তিরমিজী]
তরতীবঃ
জামাতের মধ্যে দুইটি অংশ হইবে একটি মসজিদের ভিতরে থাকবে আর অন্যটি গাস্তে যাবে | যে জামাত গাস্তে যাবে তাতে থাকবে একজন রাহবার, একজন মুতাকাল্লিম, কয়েকজন মামুর এবং একজন যিম্মাদার | রাহবার এলাকার লোক হইলে খুব ভাল হয় | সারা দুনিয়াকে সামনে নিয়ে আল্লাহ্ পাকের রাজির জন্য গাস্তে যাওয়া | গাস্তে যাওয়ার আগে নিজের দুর্বলতা পেশ করে দোয়া করা | ৭-১০ জন সাথী হলে ভালো হয় | নজরের হেফাজত করা | জিকিরে ফিকিরে যাওয়া | রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলা | মহল্লার শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে মসজিদের দিকে আসা | মসজিদেও আমল চলবে | এক ভাই ঈমান একীনের কথা বলবে, কিছু ভাই কথা শুনবে, ২/১ ভাই এস্তেকবাল করবে, ২/১ ভাই দোয়া ও জিকিরে লিপ্ত থাকবে ||
রাহবারের কাজঃ
রাহবারের কাজ হলো মহল্লার ডান দিক দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে এক এক করে সকল লোকের নিকট জামাতকে নিয়ে যাওয়া এবং সালাম দিয়ে বলা যে আল্লাহ্র রাস্তার মেহমানেরা আসছে আপনার সাথে কথা বলবে | যদি তিনি কাজে ব্যস্ত থাকেন তবে কাজ থেকে ফারেক করে মুতাকাল্লিমের কাছে নিয়ে আসবেন | রাহবার, মুতাকাল্লিম, যিম্মাদার ছাড়া অন্য কেউ সালাম দিবেন না, সালামের উত্তরও দিবেন না ||
মুতাকাল্লিমের কাজঃ
মুতাকাল্লিম ভাই নরম নরম স্বরে তিন কথার উপর দাওয়াত দিবেন | তাওহীদ, রিসালাত এবং আখিরাতের উপর | দাওয়াত এমনভারে দিতে হবে যে যেন বয়ানও না হয় এবং এলানও না হয় ||
বাংলা কুরআন উচ্চারণ
দোয়া কুনুতের বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ
اَللَّمُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
দোয়া কুনুতের বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈ’নুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু’’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ’, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা – আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ব।
ঋণ পরিশোধের দু’আ
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ তুমি তোমার হারাম বস্তু হতে বাঁচিয়ে তোমার হালাল রিযিক দ্বারা আমাকে পরিতুষ্ট করে দাও ( হালাল রুজিই যেন আমার জন্য যথেষ্ট হয় ) এবং হারামের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন এবং প্রবণতা বোধ না করি এবং তোমার অনুগ্রহ অবদান দ্বারা তুমি ভিন্ন অন্য সকল হতে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।
আবু দাউদ, ১ : ২১৬ , তিরমিযী হাঃ ৩৫৬৩,
অর্থঃ আয় আল্লাহ, আমাকে আপনার হালাল রুজি দান করিয়া হারাম হইতে বাচাইয়া নিন এবং আপনার ফজল ও মেহেরবানীর দ্বারা আপনি ব্যাতীত অন্যদের হইতে অমুখাপেক্ষী করিয়া দিন। (তিরমিজী)
হযরত আবু ওয়ায়েল (রহঃ) বলেন, একজন মুকাতাব (মুক্তিপন আদায়ের শর্তে আযাদকৃত গোলাম) হযরত আলী (রাযিঃ) এর খেদমতে হাজির হইয়া আরজ করিল, আমি (মুক্তিপনের নির্ধারিত) মাল আদায় করিতে পারতেছি না। হযরত আলি (রাযিঃ) বলিলেন, আমি কি তোমাকে সেই কালিমাগুলি শিখাইয়া দিব না যাহা রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখাইয়াছিলেন? যদি তোমার উপর (ইয়ামানের) শীর পাহাড় সমতূল্য ঋনও হয় তবে আল্লাহ তা’আলা সেই ঋনকে আদায় করিয়া দিবেন। তুমি এই দু’আ পড়--
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ العَظِيم
A Wise person said,
ReplyDeleteThinking Will Not Overcome Fear, But Action Will